বঙ্কিমচন্দ্র লিখিত অসম্পূর্ণ নাটকটীর পরিত্যক্ত অংশগুলি নিম্নে দেওয়া হইল। বঙ্কিমচন্দ্র প্রথমে নাটকটী এইভাবে আরম্ভ করিয়াছিলেনঃ—
মেঘ রায়
অকলঙ্ক গণিকা
SCENE I
প্রতাপনগরের রাজবর্ত্ম
মেঘ রায়ের প্রবেশ।
মেঘ। সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইল—আর যাইব কি?
এখন আর নগরের ভিতর যাইয়া কি হইবে?
আর একটু রাত্রি হোক্। এই বটতলে বসিয়া [অপেক্ষা] করা যাউক।
[বৃক্ষতলে আসন।
কেনই এত পরিশ্রম করিতেছি? যত্ন সফল হইলেই কি সুখী হইব? না তা নয় তবে যত্নে সুখ আছে—পরিশ্রমেই আরাম। পরিশ্রম বড় মন্দ হইতেছে না—
ইহারই মধ্যে তৃষ্ণা পাইয়াছে—যে ক্ষুধা তৃষ্ণায়
কাতর, তার দ্বারা কোন কার্য উদ্ধার হইবে?
অকলঙ্কের প্রবেশ।
তুমি কি জাতের মেয়ে গা?
অক। আমাদের কি জাত আছে মশাই?
মেঘ। তুমি বেশ্যা? তা হোক তোমার দোকানপাট আছে?
অক। একখানি দোকান করি—পথিক লোক রেঁধে বেড়ে খেয়ে যায়। আপনাকেও ত বিদেশীর মত দেখছি—বিশ্রাম করেন ত আমার দোকানেই আসুন না।
মেঘ। আমার রাঁধা বাড়া নাই একটা ডাব
খেতে পেলেই তৃষ্ণা নিবারণ হয়।
অক। তবে আমার দোকানে আসুন—হাতে
পায়ে জল দিয়ে ঠাণ্ডা হবেন তারপর ডাব কেটে দেব।
মেঘ। (জনান্তিকে) এও কপালে ছিল, আপনার
কাজের জন্য কেন না যাইব। (প্রকাশ্যে) তবে চল।
[উভয়ের প্রস্থান।
অকলঙ্কের দোকান
মেঘ—অকলঙ্ক।
মেঘ। হা গা তোমার দোকোনে এত লোকের
ভীড় কেন?
অক। এখন শহরে ঢের লোক আসছে যাচ্ছে আপনি বিদেশী তাই জানেন না।
মেঘ। কেন গা?
অক। লড়াই বাধবে জান না।
মেঘ। কাতে কাতে?
অক। আমার।





